রমজানের খাদ্যাভ্যাস
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবারও এল পবিত্র মাহে রমজান। মহা বরকত ও কল্যাণময় মাহে রমজানে বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগি, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া-দরুদ পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার ও প্রার্থনা পেশের মাধ্যমে রহমত কামনার জন্য উত্তম। আর এ রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস।
এই মাসে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসে বিরাট পরিবর্তন দেখা যায়। রোজা শুধু আত্মশুদ্ধির মাসই নয়, এ মাস আত্মনিয়ন্ত্রণেরও মাস। এ সময়ে খাবার-দাবারে আনতে হবে বিশেষ পরিবর্তন। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা সেহরি ও ইফতারে যেসব খাবার গ্রহণ করে থাকি সেগুলোর সবই যে যথাযথ তা কিন্তু নয়। এর সঙ্গে অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরটাকে কিছুটা বিপাকে ফেলে দেয়।
রোজা রাখার পর সারা দিনের খাবার একসাথে খেতে হবে এ রকম মানসিকতা থেকেও বিপত্তি দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞের কথা হচ্ছে, ভুলে গেলে চলবে না পাকস্থলীর একটি নির্দিষ্ট আয়তন ও খাবার ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। শরীর নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে রোজার সময় বিপাক ক্রিয়ার হার কমিয়ে দেয় এবং শরীরে জমাকৃত চর্বি ক্ষুধা নিবারণে ব্যবহৃত হয়।
সেহরি:
সারাদিন খাওয়া হবে না ভেবে সেহরিতে ভূরিভোজ রোজার কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত, মাছ-মাংস অর্থাৎ প্রোটিন জাতীয় খাবার পানির তৃষ্ণা বাড়ায়। তাই সারাদিন তৃষ্ণাহীন ঝরঝরে অনুভূতি পেতে সেহরিতে ভাতের সাথে শুধু সবজি (ভাজি বা ঝোল করে) খান। সেহরিতে অল্প হলেও খান। প্রয়োজনে খেজুর-কলা বা দই-চিড়াও খেতে পারেন।
ইফতার:
ইফতারে ভাজা-পোড়া, গুরুপাক ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, রকমারি অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শরবতের পরিবর্তে দুই/তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করুন। খেজুর ও পানি মিলে সুক্রোজ তৈরি করে, যা তাৎক্ষণিক প্রাণশক্তি এনে দেয়। মাগরিবের নামাজ পড়ার পর রাতের খাবার (শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ডিম, ডালসহ অন্যান্য সুষম খাবার) খেয়ে নিন।